ঘন কুয়াশায় সীমান্তে প্রহরায় সমস্যা বিএসএফের

জলপাইগুড়ি: ঘন কুয়াশার জেরে বিপাকে পড়তে হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের। প্রচণ্ড কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় জওয়ানদের চোখে ধুলো দিয়ে সীমান্তে পাচারের কাজ চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকি জওয়ানদের ওপর আক্রমণও করতে পিছপা হয়না চোরাকারবারিদের দল। শীতের মরশুম এলেই জলপাইগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পায়। কাঁটাতারের বেড়া কেটে পাচারের প্রবণতা বেড়ে যায়। এর মূল কারণ ঘন কুয়াশা। শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করা গেলেও প্রকৃতির সঙ্গে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাতে এবং সকালে সীমান্তে সদা সজাগ বিএসএফ। সীমান্তে টহলদারির মাঝে কিছু সময় ফাঁকা থাকে সেই সময়টা বেছে নেয় পাচারকারীরা। বাধা দিলেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বহুবার বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে পাচারকারীরা। ঘন কুয়াশার কারণে সীমান্তে দৃশ্যমানতা কম থাকে। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। এইরকম পরিস্থিতিতে শীতের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য বেশি সংখ্যায় বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়ে থাকে। রাতে ও সকালে শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে প্রহরায় বেগ পেতে হয় বিএসএফ জওয়ানদের। যার ফলে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তার পরিধি কমানো হয় । ছোটো ছোটো এলাকা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজগঞ্জে ১৯৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট সুনিল কুমার বলেন, ‘শীতকালে ঘন কুয়াশার জন্য আমাদের খানিকটা সমস্যায় পড়তে হয়। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ২০ মিটারেরও কম হয়ে যায়। ফলে আমাদের জওয়ানদের কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা হয়। এর জন্য আমরা বেশি করে টহল চালাই। নজরদারি বৃদ্ধি করতে হয়। এই সময় আমাদের কাজ বেড়ে যায়। তবে বিএসএফ জওয়ানরা সেই বুঝেয় নজরদারি করেন এবং সজাগ থাকেন।