রাজগঞ্জে ভোট পরবর্তী হিংসায় মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

রাজগঞ্জের সুখানি অঞ্চলের মঘাপাড়া বুথে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মাথা কাটল এক বিজেপি কর্মীর। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে তার বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগে এনেছে তৃণমূল।

আহত ব্যক্তির নাম ব্রজেশ পাল। তিনি রাজগঞ্জ দক্ষিণ মণ্ডল বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন। ব্রজেশ জানান, মঙ্গলবার ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিজের মাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় পেছন দিক থেকে কয়েকজন তার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। এর পাশাপাশি পাশের কালীমন্দিরেও ভাঙ্গাভাঙ্গির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

আহত ব্রজেশ পাল আরও বলেন, ‘রাজ্যে জয় পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপি নেতাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে।’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনার পরই আহত ব্যক্তিকে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে এসে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। যদিও শেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এখনও সেই লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ।

এদিকে মঘাপাড়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বিশ্বদীপ বিশ্বাস জানান, রাজ্যে অভাবনীয় ফল হলেও তার নিজের এলাকায় লিড দিতে পারেনি তৃণমূল। সেখানে ৪০০-র মত ভোটে লিড দিয়েছে বিজেপি। তবে দলের কর্মী সমর্থকেরা নিজেদের মতো করে বিজয়ের আনন্দ করছিলেন। গত সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে ওই ব্যক্তি ‘উস্কানি’ দিয়েছে বলে অভিযোগ। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে সাম্প্রদায়িক ব্যাপার বলে কিছু নেই। ইচ্ছে করে বিজেপির তরফ থেকে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানো হচ্ছে।’ এই ঘটনার খবর পেয়ে মঘাপাড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিধান রায় এই ঘটনায় চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল। জায়গায় জায়গায় আমাদের কর্মীদের ওপরেও হামলা করা হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি।’ নিজের দলীয় কর্মীদের সতর্ক এবং শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।