জলপাইগুড়ি: বাংলার মানুষ বাংলায় কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে গিয়ে মরবে আর বাইরের লোকেরা এখানে এসে মাটি খাবে, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খাবে, আর বাংলার নামে বদনাম করবে, এটা হতে পারে না। এলাকার ইন্ডাস্ট্রিতে আগে এলাকার ভূমি পুত্ররা কাজ পাবে, তারপর অন্য কেউ।
রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরে বিগত কয়েক বছরে একাধিক শিল্প কারখানা তৈরি হলেও এখানে স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ এবং স্থানীয়দের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের দাবি করে আসছে এলাকাবাসীরা। সেই ইস্যুতেই শনিবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরে এসে সুর চড়ালেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ফাটাপুকুর হিন্দি প্রাইমারি স্কুলে বাংলা পক্ষের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের দু’পাশে ফাটাপুকুর সংলগ্ন এলাকায় একাধিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে গত কয়েক বছরে। সেখানে বাইরের সংস্থা এসে বসেছে। বাইরের রাজ্য থেকে এসে লোকেরা কাজ করছে। কিন্তু স্থানীয় বাঙালি বা রাজবংশীরা কিন্তু কেউ সেই কাজ পাচ্ছেন না।
এই অবস্থা চলতে থাকলে তো এই এলাকা বহিরাগতদের দখলে চলে যাবে। বাঙ্গালিরা চেয়ে চেয়ে দেখবে? এটা হতে পারেনা। বাংলাপক্ষের দাবি, এলাকার ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। নব্বই শতাংশ কাজ আমাদের চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা জলপাইগুড়ি থেকে কোচবিহার শিলিগুড়ি সংগঠন জোরদার করে আন্দোলন গড়ে তুলছি যাতে, ‘চাপের নাম বাপ’ – এই নীতিতে সংরক্ষণ করতে তারা বাধ্য হয়।
সবার বাড়ি – বাড়ি; আর আমার বাড়ি – হোটেল, এটা হতে দেওয়া যায় না। বাংলার মানুষ এখানে কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে যাবে আর ভিন রাজ্যের মানুষ এখানে এসে কাজ করবে, মাটি খাবে, ভোটার লিস্টে জাল নাম তুলে সরকারের কন্যাশ্রী খাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খাবে, তা হতে পারে না।