অর্থের অভাবে বছর দুইয়ের কন্যাসন্তানকে পেট ভরাতে খাওয়াতে পারছিলেন না, সেই কারণেই নিজের মেয়েকে নিয়ে জলে ঝাঁপ ইঞ্জিনিয়ার বাবার। মেয়ের প্রাণ গেলেও বেঁচে গেলেন বাবা। অন্তত এমন কথাই শোনা গিয়েছে অভিযুক্তের মুখ থেকে। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় চাঞ্চল্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর এক ব্যক্তি তার ২ বছরের কন্যাসন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবকের নাম রাহুল পারমার। তিনি গুজরাতের বাসিন্দা এবং দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ভব্যার সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন। প্রায় ৬ মাস আগে চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি বিটকয়েনেও বিনিয়োগ করে অনেক টাকার লোকসান করেন।
পুলিশের কাছে ভুল স্বীকার করে রাহুল পারমার বলেন, চাকরি চলে যাওয়ার পর তিনি অর্থ কষ্টে ডুবে যান। এমনকি তাদের ২ বছরের কন্যাসন্তানকেও ঠিকমত খাওয়াতে পারছিলেন না। তাই পরিস্থিতির চাপে পরেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু সেই ঘটনায় মেয়ের প্রাণ গেলেও নিজে বেঁচে যান।
শিশুটির দেহ শনিবার কোলার এলাকার কেন্দাত্তা গ্রামের নিকটবর্তী একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই জলাশয়ের পাশে একটি নিল রঙের গাড়িও উদ্ধার হয়। এই সন্দেহজনক পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রা কোলার থানায় দ্বারস্থ হন। অন্যদিকে ১৫ নভেম্বরের পর থেকে মেয়ের নিরূদ্দেশ হওয়ার পর অভিযুক্তের স্ত্রী ভব্যা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মেয়েকে খুনের দায়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও ঘটনার যোগ সুত্র রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।