নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রী, এবার আদালতে মমতা বনাম শুভেন্দু

বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধাযক শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আগামিকাল সকাল ১১ টায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার শুনানি হবে। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে ভোটের গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গণনার শুরু থেকে নন্দীগ্রামে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু। পরে কয়েকটি রাউন্ডে এগিয়ে যান মমতাও। শেষের দিকে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হয়। ষোড়শ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন মমতা। হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে কী ফলাফল হয়, তা জানতে সারাদেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে।

প্রাথমিকভাবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, ১,২০০ ভোট জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন। তা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, ১,৯৫৩ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন শুভেন্দু। মধ্যরাতের কাছাকাছি নির্বাচন কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন মমতা। তারপরই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন।

তারইমধ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন বিকেলেই মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে সামান্যে ভোটে হেরে গিয়েছেন। কিন্তু সেই ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন। অভিযোগ করতে থাকেন, যাতে পুনর্গণনার নির্দেশ না দেন, সেজন্য রিটার্নিং অফিসারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করে বিজেপি। কয়েকদিন পর মমতাও নন্দীগ্রাম-পর্বে ‘দাঁড়ি’ টেনে নেন। যদিও আদতে যে দাঁড়ি টানেননি, তা ইলেকশন পিটিশনের ঘটনায় স্পষ্ট। তাই নন্দীগ্রামে টক্করের পর আদালতেও হতে চলেছে মমতা বনাম শুভেন্দু লড়াই।

About The Author