অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে মিলল কুইন্টাল কুইন্টাল গাঁজা! সাইরেন বাজিয়ে অ্য়াম্বুলেন্সে রোগী নয়, গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, জেনেই রীতিমতো অবাক হলেন স্থানীয়রা। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ঘটনায় রাজগঞ্জের সুখানিতেও চাঞ্চল্য। কারণ, সুখানি ভোলাপাড়ায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য সেই অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ করেছিল রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। আর সেটাতেই কিনা বিপুল পরিমাণ গাঁজা পেল পুলিশ!! গাড়ির চালক আদিত্য দাস সহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, অ্যাম্বুলেন্সকে হাতিয়ার করেই উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে থরে থরে গাঁজা পাচার হচ্ছে। মঙ্গলবার গোপন টিপ পেয়ে ওই অ্যাম্বুলেন্স থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় প্রায় দেড় কুইন্টাল গাঁজা। এদিকে, রাজগঞ্জে যার মালিকানায় এই গাড়ি, তিনি জানালেন, অবৈধ কাজ করলে আইন মেনে ব্যবস্থা হোক, তবে এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগসাজশ নেই।
জানা গেল, মঙ্গলবার সকালে সামশেরগঞ্জ থানার চকসাপুর মোড়ে অ্যাম্বুলেন্সে হানা দেয় পুলিশ। গাঁজা মিলতেই গ্রেফতার করা হয় আদিত্য দাস এবং অনুুপ সূত্রধর নামের দু’জনকে। পুলিশ বলছে, উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে গাঁজা তুলে তা দক্ষিণবঙ্গে আনা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে পুলিশ পাকড়াও করেছে। ফারাক্কার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খাঁন, সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ এবং ওসি শিব প্রসাদ ঘোষের উপস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এদিকে, রাজগঞ্জে একটি সমবায় সমিতির নামে রয়েছে এই অ্যাম্বুলেন্সটি। সমিতির ম্যানেজার সাহিদুল ইসলাম জানান, আদিত্য দাসের সঙ্গে দু’বছরের জন্য অ্যাম্বুলেন্সটির চুক্তি করেছিল তারা। চুক্তি অনুযায়ী, ওই গাড়িতে অবৈধ কিছু কাজ করলে তার দায় চালকের ওপরই বর্তায়। সাহিদুল জানান, দরকারে তিনি এই ব্যাপারে পুলিশকে সাহায্য করবেন। অবৈধ কাজ হলে, আইনগত পদক্ষেপ হোক, তিনিও চান।