জলপাইগুড়ি: দড়ির দুই প্রান্তে ঝুলছে দু’জন। গাছে এমন অবস্থায় নাবালক-নাবালিকাকে দেখে চমকে গেলেন স্থানীয়রা। জানা গেল, দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি। সকালে টিউশনি পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় নাবালিকা। বাড়ি থেকে চলে আসে নাবালকও। তারপর উদ্ধার হল যুগলের দেহ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের চুরাভান্ডার এলাকায়৷ মৃত নাবালকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। মৃতার বাড়ি গয়েরকাটায়।
মঙ্গলবার সকালে একটি বাগানে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনায় হতবাক পরিবারের লোকেরা। মনে করা হচ্ছে, নাবালক-নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে এই সম্পর্ক মেনে নেওয়া হয়নি। যদিও পরিবারের দাবি, দুই পক্ষের আলোচোনার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাঁদের বিয়ে দেওয়া যেত। তবে এই মুহূর্তে সেই বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকেরা। আর সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে ওই দু’জন। তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
রাজগঞ্জের খবর: সাইনবোর্ডের লেখা অনুযায়ী প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকার খরচ, কিন্তু সেই রাস্তা তৈরিতে নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। বিপুল টাকা খরচে ১.৯ কিমির রাস্তা দায়সাড়া ভাবে তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজগঞ্জের পানিকাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঠিয়াগছ গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা পাকা করা হচ্ছিল না। ভোট বয়কটের পর সরকারি তরফে সেই রাস্তা মিলেছে বলে দাবি।
রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। একটি পিচের রাস্তা যেভাবে তৈরি করার কথা, সেইভাবে তৈরি করা হচ্ছে না। অভিযোগ, জোড়া তালি দিয়ে করছে ঠিকাদার। কাজের সেডিউল দেখাতে চাইলে কথা শুনছেন না। এই বিষয়ে পানিকাউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাপিয়া দে সরকার জানান, এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আমি এলাকায় পরিদর্শনে যাব। জোড়াতালি করে কাজ হলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।