রাজগঞ্জ: বয়স মোটে চার বছর। এখনই গড়গড় করে বলে ফেলছে দেবদেবীর মন্ত্র, শ্লোক! ঝড়ের গতিতে বলে দিচ্ছে দেশের রাজ্য-রাজধানির নাম। পতাকা দেখেই দুনিয়ার সব দেশের নাম চলে আসছে ঠোঁটের আগায়। তাও রেকর্ড সময়ের মধ্যে। এই বয়সেই ছোট্ট মাথার ভেতর যেন একখানা বিশ্বকোষ তৈরি হয়েছে!
রাজগঞ্জের সাহা পাড়ার ছোট্ট ইশায়ু রায়-এর কারনামা নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর। বাবা রণদীপ রায় বলছেন, ইশায়ু হনুমান এবং শ্রী রামের ভক্ত। বাড়িতে খেলার সঙ্গী এক খানা গদা আর তীর-ধনুক! আর মায়ের মুখ থেকে শুনে শুনে শিখে ফেলেছে গনেশ, কৃষ্ণ, শিব, দুর্গা, গায়ত্রী সহ বিভিন্ন দেবদেবীর মন্ত্র।
শুধু এখানে থেমে নেই, পতাকা দেখে নিমিষেই বলে দিতে পারে বিশ্বের সব দেশের নাম। খেলোয়াড়দের ডাকনাম শুনে বুঝে ফেলছে তাদের আসল নাম। আকার, আকৃতি, আবিষ্কার আর আবিষ্কারকের নাম, ভারতের রাজ্য ও রাজধানী, উৎসব, নৃত্য, স্থাপত্য—সবই যেন খুদের ঠোঁটের ডগায়। আর সেই অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞানের প্রতি ওর আগ্রহের কথা জানিয়ে সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এর তরফ থেকে সম্মানও পেয়েছে ইশায়ু। হাতে এসেছে শংসাপত্র আর একটি মেডেল।
প্রাপ্তি পত্রে ইশায়ুর হয়ে সংস্থা লিখেছে, রেকর্ড সময়ে ২৫ জন ক্রীড়াবিদ, ৩০ জন উদ্ভাবক, ৫৭টি প্রাণী, ৩৫টি প্রাণীর শাবক, ১৬টি বাদ্যযন্ত্র, ৩২টি অ্যাকশন, ২৩টি আকার, ২৯টি সম্প্রদায়ের সাহায্যকারী, ১৬টি উৎসব, ১০টি নৃত্যের ধরণ, ৪১টি বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম, ৭০টি ইংরেজি প্রতিশব্দ, ২৮টি ভারতীয় রাজ্য এবং ৮টি ইউনিয়ন টেরিটরির নাম, রাজধানীর নাম এবং অল্প সময়ে ৯টি শ্লোক পাঠ করেছেন এই ৪ বছরের খুদে।
ছেলের এই কীর্তি দেখে হতবাক মা অনিন্দিতাও। পরিবারের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে প্রতিবেশীদেরও। সবাই বলছেন, এতটুকু বয়সেই যদি এমন জ্ঞান আর ভক্তি থাকে, তাহলে আগামীতে কী করবে কে জানে!