বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সেবকের করোনেশন ব্রিজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, করোনেশন ব্রিজে কোনও একটি ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং চলছিল। তবে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা দেখে বিভিন্ন মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন।
এদিন দুপুরেই বিস্ফোরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজে কিভাবে ঘটল এই কাণ্ড, কার অনুমতিতে এই কাজ হল, প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরনো এই সেতুটি যথেষ্টই দুর্বল হয়ে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তারপর কিভাবে এমন কাণ্ড ঘটানো হল, প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোশ্যাল রিফর্মসের তরফে চন্দন রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই। একটি দুর্বল সেতুর ওপর এই সব কর্মকাণ্ড কিভাবে হয়? এর জন্য প্রশাসন কিভাবে অনুমতি দিয়েছেন? এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। আগামী শনিবার সেবক থানা ঘেরাওএর ডাক দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ, হেরিটেজ ধংসের মুখে। প্রশাসন রক্ষার্থে উদ্যোগ না নিলেও হেরিটেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুকে ধংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তীব্র শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। সেবক করোনেশন ব্রিজের ওপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং চলছিল। এই বিস্ফোরণ তারই অংশ।
ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা। ঐতিহ্যবাহী এবং দুর্বল সেতুটির ওপর দিয়ে ১০ টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতায়াতে নিষেধ রয়েছে। পাশাপাশি অভয়ারণ্য সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় জায়গাটিতে বাঁদর সহ বিভিন্ন পাখি ও বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ শব্দ ও ধোঁয়া সহযোগে এহেন বিস্ফোরণ কতটা সমীচিন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
ডুয়ার্স ফোরামের সদস্য চন্দন রায় প্রশ্ন তোলেন হেরিটেজ সেতুর উপর কি ভাবে প্রশাসন এই রকম ঘটনা ঘটানোর অনুমতি দিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে সমস্ত মানুষকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন তিনি।