উত্তরাখণ্ডে ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি! চামোলিতে তরুণীর মৃত্যু, থারালিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ফের মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ বিপর্যয়। শুক্রবার গভীর রাতে থারালি তেহশিল এলাকায় হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ধস ও হড়পা বানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

থারালি বাজার, তেহশিল কমপ্লেক্স, কোটদীপ ও চেপদাঁও বাজারের বহু দোকান, বাড়ি ও গাড়ি কাদামাটি ও পাথরের নিচে চাপা পড়ে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের সরকারি বাসভবনও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাগওয়ারা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর, নাম কবিতা। নিখোঁজ রয়েছেন এক ব্যক্তি, যাঁর নাম যোশি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে NDRF ও SDRF-এর উদ্ধারকারী দল। রাত থেকেই উদ্ধারকাজ চলছে। থারালি-গোয়ালদাম এবং থারালি-সাগওয়ারা রাস্তাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।

চামোলির জেলা শাসক সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন, “গতরাতে থারালি তেহশিলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর ধ্বংসস্তূপ জমেছে, যার ফলে বহু ঘরবাড়ি, দোকান, এমনকি SDM-এর বাসভবনও ধ্বংস হয়েছে।”

অতিরিক্ত জেলা শাসক বিবেক প্রকাশ ANI-কে জানিয়েছেন, “রাতেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রাস্তা বন্ধ, মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। প্রশাসন ত্রাণকাজে নিয়োজিত। ইতিমধ্যে কয়েকটি ত্রাণ শিবিরও খোলা হয়েছে।”

চামোলি পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই থারালি থানার অন্তর্গত এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। রুদ্রপ্রয়াগ ও জোশীমঠ থেকে মেডিক্যাল টিম, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ডগসহ সেনা ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, “আমি নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। জেলা প্রশাসন, SDRF ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি।”

ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা।

About The Author