পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প? জল্পনা তুঙ্গে

সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তান সফরে যেতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই দাবি করেছে একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম। যদি সফরটি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে ২০০৬ সালের পর প্রথমবার কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফর।

তবে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এই সফর সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য জানায়নি। ট্রাম্পের সম্ভাব্য সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে, বিশেষত তিনি সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে মধ্যস্থতার দাবি করেন।

দুই দশকের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তান সফরে যেতে পারেন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে পৌঁছাতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এই সফর নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি ওয়াশিংটন বা ইসলামাবাদ থেকে।

এই সম্ভাব্য সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। কারণ, ট্রাম্পের এই সফর যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা হবে ২০০৬ সালের পর প্রথমবার কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাকিস্তান সফর।

তবে সফরের সত্যতা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা এই সফর সম্পর্কে কোনও তথ্য জানে না। অন্যদিকে, কিছু আন্তর্জাতিক সূত্র দাবি করছে, ওই সময় ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে রাজকীয় সফরে থাকবেন। ফলে সফরটি আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।

এই জল্পনার পেছনে রয়েছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট। মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি নিজেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করেছেন। যদিও ভারত সরকার এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এসেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর নিজস্ব আলোচনার মাধ্যমে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর যদি সত্যিই হয়, তবে তা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষত, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হোয়াইট হাউস বৈঠক এবং ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে আলোচনার পর এই সফরের সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।

About The Author