রাজগঞ্জ কলেজে এসএফআই (SFI) এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) মধ্যে ধুন্দুমার কাণ্ড। প্রথমে বাদানুবাদ এবং তারপর হাতাহাতি। দুই তরফেই ‘চোর চোর’ স্লোগান শোনা যায়। স্লোগানবাজির মধ্যেই ‘মুরগি চোর, গরু চোর’ রব শোনা যায় SFI-এর তরফে। পাল্টা হিসেবে ‘সিপিএম-এর সবাই চোর’ বলতে শোনা যায় তৃণমূলের তরফে। শনিবার এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় কলেজ চত্বরে। বহিরাগত ইস্যুতেও সরব হল দুই পক্ষই।
বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে ইউনিটের সেক্রেটারি মোঃ মান্নান জানান, শনিবার কলেজে মোট ৬টি বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন তারা। তাদের দাবিগুলির মধ্যে রাজগঞ্জ কলেজে রেগুলার পাশের ক্লাস নেওয়া; সেই সঙ্গে বিজ্ঞান, ভূগোল এবং পলিটিক্যাল সায়েন্স চালু করার দাবি রাখা হয়। পাশাপাশি কলেজে একটি বয়েস কমনস রুম তৈরি এবং সেই সঙ্গে কলেজের ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করার দাবি রাখা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদা রাজগঞ্জ কলেজে ডেপুটেশন দিতে ঢোকে এসএফআই। যদিও তার কিছু পরেই ফিরে আসেন তারা। তারপর থেকেই কলেজে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূলের বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাইরের লোক নিয়ে এসে অশান্তি করার চেষ্টা করেছে এসএফআই। স্মারকলিপি দেওয়ার ব্যাপারে আগে থেকে কোনও লিখিত দেওয়া হয়নি বলে দাবি তৃণমূলেরও। শনিবার একটি অনুষ্ঠানের জন্য টিএমসিপির সদস্যেরা কলেজের গেটের বাইরে দাড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় কলেজে ঢুকে এসএফআই-এর সদস্যেরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়ায় প্রতিবাদ করা হয়েছে। এই নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে এরপর তীব্র বাদানুবাদ এবং হাতাহাতি শুরু হয়।
এই ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হরপ্রশাদ মিশ্র বলেন, আগাম না জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া যায় না। এদিন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সেই কথা জানিয়ে দেওয়ায় তারা ফিরে গিয়েছেন। এরপর ‘হয়ত’ কলেজের বাইরে দুই রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বাদানুবাদ হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ এসেছিল, তারা বিষয়টি সামলেছেন। রাজগঞ্জ কলেজে শনিবারের ঘটনায় বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ পুলিশ। তাদেরও কয়েকজন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।