মোদী তাঁর নাকি প্রিয় বন্ধু, তবু শুল্কের হুমকি! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়েছেন ভারত ও চীনের উপর ১০০% শুল্ক আরোপ করতে, যার উদ্দেশ্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো।
ট্রাম্পের মতে, ভারত ও চীন রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে তেল ও অন্যান্য পণ্য কিনে রাশিয়ার অর্থনীতিকে সচল রাখছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি মনে করছেন, এই দুই দেশকে শুল্কের মাধ্যমে চাপে ফেললে পুতিনের উপর প্রভাব পড়বে এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভারতের উপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ২৫% শাস্তিমূলক শুল্ক। চীন আপাতত সেকেন্ডারি শুল্ক থেকে রেহাই পেলেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সীমিত সমঝোতায় পৌঁছেছে। ট্রাম্পের এই আহ্বান ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে কৌশলগত চাপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
তবে ট্রাম্প একইসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “খুব ভালো বন্ধু” বলে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হবে। মোদীও ইতিবাচক সুরে জবাব দিয়েছেন, দুই দেশের অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক নতুন মোড় আনছে, যেখানে শুল্কনীতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি শুধু বাণিজ্য নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।