ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যু, যুদ্ধবিরতি নিয়ে রা নেই পুতিনের মুখে

তখন রেড কার্পেটের উপর ট্রাম্প-পুতিন একসঙ্গে হেটে আসছেন; হঠাৎই মাথার ওপর দিয়ে গর্জে ছুটে গেল মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান, সঙ্গে আবার চারটি এফ-22। পুতিনের চোখ উঠে গেল আকাশে, এদিকে ট্রাম্পের ঠোঁটে হালকা হাসি।

শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে আসেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানেই তাঁকে এই কায়দায় ওয়েলকাম জানাল আমেরিকা।

অস্থায়ী মঞ্চে উঠেও পুতিনকে সাংবাদিকের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। যুদ্ধ-বিরতি নিয়ে আলোচনা হবে কি? কেন আম জনতাকে মারছেন তিনি? এমন প্রশ্নও শুনতে হল পুতিনকে। তবে কোনও উত্তর না দিয়ে ট্রাম্পের গাড়িতেই একসঙ্গে বসে পড়লেন দুই নেতা।

এদিন, আলাস্কার সামরিক ঘাঁটি ‘জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন’-এ তিন ঘণ্টার বৈঠক চলল দুই নেতার। যুদ্ধবিরতির কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, ট্রাম্প বললেন “ভাল অগ্রগতি” হয়েছে। পুতিনের বার্তা একটাই— “সংঘাতের মূল কারণ দূর না করলে শান্তি সম্ভব নয়”।

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ‘ল্যান্ড সোয়াপিং’-এর প্রস্তাবও আলোচনায় এসেছে। তবে ইউক্রেনবাসীর মধ্যে এই ব্যাপারে হতাশা, রাশিয়ার আধিপত্য বজায় রাখার ইঙ্গিত স্পষ্ট।

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা, কিন্তু জেলেনস্কি অনুপস্থিত। নিরাপত্তা গ্যারান্টি বা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার আলাস্কার অ্যানকোরেজে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই নেতা একটি সামরিক ঘাঁটিতে লাল গালিচা অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে বৈঠক শুরু করেন, যা ছিল অত্যন্ত নাটকীয় ও প্রতীকী।

প্রথমে একান্ত বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও পরে দুই পক্ষের উপদেষ্টারা যোগ দেন। মার্কো রুবিও ও স্টিভ উইটকফ ট্রাম্পের সঙ্গে, আর পুতিনের সঙ্গে ছিলেন ইউরি উশাকভ ও সের্গেই লাভরভ।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তাঁর লক্ষ্য পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফেরানো, ইউক্রেনের পক্ষে কোনো চুক্তি করানো নয়। তিনি কিয়েভের জন্য কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও বলেছেন, “আমরা আমেরিকার ওপর নির্ভর করব।” তিনি যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে ভবিষ্যতে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।

বৈঠকের সময়ই ইউক্রেনে রুশ ড্রোন ও বিমান হামলার সতর্কতা জারি হয়, যা যুদ্ধের বাস্তবতা আরও স্পষ্ট করে তোলে।

পুতিন সাংবাদিকদের প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি—যুদ্ধবিরতি, বেসামরিক হত্যা, বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি নীরব ছিলেন।

এই বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা ও প্রত্যাশা দুইই রয়েছে। তবে এখনো কোনো চুক্তি বা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসেনি।

About The Author