‘২৬-এর ভোটে জিততে হলে, আগে নেতা পাল্টা‌তে হবে’, TMC-র জেলা নেতৃত্বকে খোঁচা কৃষ্ণ দাসের

জলপাইগুড়ি: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে উত্তরের ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নেতা হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের এসসি, এসটি, ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন দলের নেতৃত্ব নিয়ে। তাঁর মন্তব্য—জেলায় স্বচ্ছ নেতাদের অভাব থাকলে ২০২৬-এ তৃণমূলের জয় অসম্ভব। খবর অনুযায়ী, তাঁর ভাষ্য ঘিরেই গরম হয়ে উঠেছে জেলার রাজনৈতিক আবহ।

শনিবার বিকেলে জেলা সভাপতির সভার পাল্টা সভা ডাকেন কৃষ্ণ দাস। সারা শহর থেকে আসা মিছিল মিলিয়ে প্রায় দশ হাজারের বেশি অনুগামী উপস্থিত ছিলেন তাঁর সভায়। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, যা দলের ভেতরের বিরোধকেই উস্কে দেয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

সেই সভার মঞ্চ থেকেই জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন কৃষ্ণ দাস। তাঁর বক্তব্য, “ক্ষমতা থাকলে জেলা সভানেত্রীও একটা সভা ডাকুন। আমিও ডাকব। তারপর দেখা যাক, কার সভায় কত লোক আসে।” পাশাপাশি দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে রাতে গাড়িতে বসে মদ্যপানের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি, যার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দলের তরফে শোকজ করা হয় ঐ নেতাকে।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা নেতৃত্বকে একাধিকবার আক্রমণ করেন কৃষ্ণ দাস। তাঁর অভিযোগ, “যে নেতারা জনসংযোগ রাখেন না, তাঁরা নির্বাচনে ছিটকে যাবেন। আমি যে অপ্রিয় সত্যি বলি, সেটাই অনেকের সমস্যা।” আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “যদি কর্মীরা মাঠে মার খান আর নেতারা গাড়িতে বসে বিজেপির সঙ্গে মদ্যপান করেন, তাহলে মানুষ কাকে ভোট দেবেন?”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জেলাস্তরে নেতাদের পরিবর্তন না হলে, আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল হেরে যাবে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

About The Author