যেমন রান্নায় তেজপাতা গন্ধের জন্য ব্যবহৃত হলেও পরে ফেলে দেওয়া হয়, তেমনই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, মুসলিমরা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরে অবহেলিত হন।
হুগলি: ‘আমি কোনদিন বলিনি যে মুসলিমদের ভোট আমি চাইনা, আসলে আমি তাদের ভোট পাই না।’, ‘ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই; মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে আসা কিছু মুসলিম এ রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে। জায়গায় জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আগামী দিনে তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এই মন্তব্যের কিছু পরেই তিনি আবার বলেন, রাজ্যের মুসলিমদের তেজপাতা হিসেবে ব্যবহার করছেন মমতা ব্যানার্জি, ভোটের সময় তাদের থেকে ভোট নেন কিন্তু অশান্তির সময় তাদের ঘরের বেটি-কন্যারা মারা যায়।
শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ‘কন্যা সুরক্ষা যাত্রা’ শেষে এমন মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কের অংশ, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি অতিরিক্ত পক্ষপাত দেখাচ্ছেন, অথচ তাদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব বা মর্যাদা দিচ্ছেন না।
“তেজপাতা” শব্দটি এখানে রূপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে—যেমন রান্নায় তেজপাতা গন্ধের জন্য ব্যবহৃত হলেও পরে ফেলে দেওয়া হয়, তেমনই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে মুসলিমরা ভোটের সময় গুরুত্বপূর্ণ হলেও পরে অবহেলিত হন।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি হয়ে এসেছেন সমিক ভট্টাচার্য। তাঁর মুখেও মুসলিমদের নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। আর শুভেন্দুর মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কদিন আগেই অভিযোগ করে শুভেন্দুর নাম না করে বলেছেন, “যাদের বিরুদ্ধে এত বাজে কথা বলছেন, তারা যদি একটা আন্দোলনের ডাক দেয়, সামলাতে পারবেন তো?”—যা অনেকেই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ইঙ্গিত বলে মনে করছেন।