কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ২০১৬ সালের বাতিল হওয়া নিয়োগপ্যানেলের ‘যোগ্য কিন্তু দাগি নন’ শিক্ষকরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের জন্য আবেদনের সময়সীমা আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রয়োজনে নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে মামলার শুনানিতে জানানো হয়, যাঁরা বর্তমানে স্কুলে যাচ্ছেন এবং ২০১৬ সালের নিয়োগে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন। কমিশনের নতুন নিয়োগবিধিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বরের শর্ত থাকলেও, এই শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। আদালতের মতে, যাঁদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তাঁদের যোগ্যতা স্বীকৃত এবং তাঁরা নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন।
এসএসসি-র নতুন নিয়োগবিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ৫০ শতাংশ নম্বরের বাধ্যবাধকতা। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগে এই শর্ত ছিল না। ফলে বহু শিক্ষক এই নিয়মের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁদের যুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে জানায়, যাঁরা এখনও আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হল। এই অতিরিক্ত ১০ দিনের মধ্যে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগপ্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এতে চাকরি হারান ২৫,৭৩৫ জন। আদালত জানায়, সঠিক তথ্যের অভাবে যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করা সম্ভব হয়নি, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে। কমিশনকে নতুন করে নিয়োগ শুরু করতে বলা হয়। ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিতদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। পরে এসএসসি ও রাজ্য সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়।