Saradha Cheat Fund: প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস সুদীপ্ত-দেবযানী! ১২ বছর পর সারদা মামলায় এই প্রথম রায়

কলকাতা: সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে (Saradha Cheat Fund Case) ১২ বছর পর প্রথম রায় দিল আদালত। হেয়ার স্ট্রিট থানার তিনটি মামলায় তথ্যের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukhopadhyay)। তবে এখনও জেলমুক্তি হচ্ছে না তাঁদের।

০১৩ সালের সারদা চিটফান্ড কাণ্ড (Saradha Cheat Fund Case) নিয়ে ফের আলোড়ন। দীর্ঘ ১২ বছর পর এই মামলায় প্রথমবার আদালতের রায় এল। হেয়ার স্ট্রিট থানায় (Hare Street Police Station) দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় তথ্য ও প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen) ও সংস্থার অন্যতম মুখ দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukhopadhyay) ।

মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতের বিচারভবনের ১১ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিধি শ্রী (Nidhi Shri) এই রায় দেন। যদিও এই রায়ে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না তাঁদের। জানা গেছে, সুদীপ্তের বিরুদ্ধে এখনও ২০০-র বেশি প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পাশাপাশি ইডি (ED), সিবিআই (CBI) এবং সেবি (SEBI)-র তরফেও একাধিক মামলা চলছে।

২০১৩ সালে কাশ্মীরের শোনমার্গ (Sonmarg) থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে তাঁরা জেলবন্দি। বর্তমানে দেবযানী রয়েছেন দমদম সেন্ট্রাল জেলে (Dum Dum Central Jail), আর সুদীপ্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) । ২০২৩ সালে দেবযানী কয়েক ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন।

আইনজীবীদের মতে, সরকার পক্ষের কাছে ৫০ জন সাক্ষীর তালিকা থাকলেও মাত্র ১৫ জন আদালতে হাজির হন। যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের অনেকের কাছেই পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না। এই তিনটি মামলাই ছিল সুদীপ্ত-দেবযানীর বিরুদ্ধে প্রথম দায়ের হওয়া মামলা। তাই এই রায় ভবিষ্যতের অন্যান্য মামলার গতিপথেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

রাজ্যের একাধিক থানায় লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে। প্রথমে তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ, পরে দায়িত্ব নেয় সিবিআই। পাশাপাশি ইডি ও সেবিও তদন্তে নামে।

About The Author