মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান আর করা হল না। ট্রেন আসছে শুনে ছুটোছুটি, হুড়োহুড়ি… আর তাতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১৮ জনের। চোখের সামনেই ভিড় মারিয়ে গেল কারও মা-বোনকে, কারও বন্ধুকে। নয়াদিল্লির রেলস্টেশনে নজিরবিহীন ঘটনায় প্রশাসনের অব্যবস্থার পাশাপাশি মানুষের সাধারণ মানবিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্ল্যাটফর্মে এমনিতেই ভিড়; পা রাখারও জায়গা নেই; সেইসময় অন্য প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসছে শুনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এক প্ল্যাটফর্মের ভিড় আরেক প্ল্যাটফর্মের সিঁড়িতে শুয়ে থাকা অন্যান্য মানুষগুলির ওপর মাড়িয়ে চলে যায়। তোলার কেউ ছিল না। কেউ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে, কেউ বোনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুম্ভের পথে। কিন্তু চোখের সামনেই পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
এক যাত্রী বলছেন, ট্রেনের ঘোষণা হতেই স্টেশনে প্রচুর মানুষ ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেয়। একে অপরের গায়ের উপরে উঠে যান। ওভারব্রিজের উপরে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়ি শুরু হয়। চোখের সামনে একে অপরকে মাড়িয়ে দৌড় লাগায়।’ আরও এক যাত্রী জানান, যাদের টিকিট ছিল না তারা ট্রেনের ভিতরে বসে ছিল, আর যাদের আসন সংরক্ষিত ছিল তারা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। একজন পুলিশ আমায় বলেন যে প্রাণ বাঁচাতে চাইলে এখান থেকে চলে যান।
সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির রেল স্টেশনে রাত ৯টার পর প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস যখন ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল, তখন প্ল্যাটফর্মে প্রচুর লোক জড়ো হয়েছিল। পাশের প্ল্যাটফর্মগুলিতে আসার কথা ছিল স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানীর। দুটি ট্রেনই দেরিতে চলছিল। এই কারণে ওই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিড় করেছিলেন। পাশের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার ঘোষণা হতেই বিপত্তি ঘটে। ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে এসকেলেটরের কাছে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ জনের।