সোনালি ফিরলেও তাঁর পরিবার এখন আটকে বাংলাদেশে, সীমান্তে ক্ষোভ
মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবশেষে দেশে ফিরলেন বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা সোনালী খাতুন এবং তাঁর আট বছরের নাবালক সন্তান। সাড়ে তিন মাস আগে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, তাঁরা বাংলাদেশি নাগরিক। অথচ তাঁদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ নথি ছিল।
সোনালী তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সন্তানসহ তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। সেখানে স্থানীয় পুলিশ তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আটক করে মামলা রুজু করে। একশো দিনেরও বেশি সময় তাঁরা সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। অবশেষে জামিন পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে সোনালী ও তাঁর সন্তানকে ভারতে ফেরানো হয়।
মালদা সীমান্তে জেলা শাসক ও প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত থেকে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তবে সোনালীর স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনও বাংলাদেশে রয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ও তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, বাকিদেরও ফিরিয়ে আনতে হবে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেহেতু সোনালীকে দিল্লি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেছেন, বাকিরা বাংলাদেশি নাগরিক। মানবিকতার খাতিরে শুধু সোনালী ও তাঁর সন্তানকে ফেরানো হয়েছে।

