কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় ফেসবুকে প্রতিবাদ, গ্রেপ্তার যুবক

কালিয়াগঞ্জে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে কিশোরীর ছবি, নাম পরিচয় ইত্যাদি জুড়ে প্রতিবাদী লেখা শেয়ার করা হচ্ছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ না জেনেই কপি-পেস্ট করে এসব ছবি-তথ্য শেয়ার করেছেন। সেই স্রোতে গাঁ ভাসাতে গিয়ে বিপদে পড়লেন রাজগঞ্জের এক যুবক। ফেসবুকের ওই প্রতিবাদ গড়াল আদালত অবধি। 

ধর্ষিতা এবং ধর্ষণকারীর ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ নাগ। তাঁর সেই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ছড়াছড়ি হতেই রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে শুভজিতের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ করেছিলেন সুখানি অঞ্চলের উপপ্রধান ইজরায়েল হক। তাঁর অভিযোগ, ‘শুভজিতের পোস্টে ‘মুসলিম’ কথা উল্লেখ ছিল। ইজরায়েল হকের দাবি, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক, প্রতিবাদ হোক। তবে এই পোস্টে জাতিগত বিদ্বেষ-বার্তা আছে। যার জন্য এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে।’ এই অভিযোগ থানায় জমা পড়তেই তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সোমবার শুভজিৎকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। যদিও পড়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

এই ব্যাপারে শুভজিতের বক্তব্য, ‘সব ধর্মকেই সম্মান করি। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে ওই লেখা এবং ছবি ফেসবুক থেকেই সংগ্রহ করে পোস্ট করেছিলাম। জেনে বুঝে কাউকে ছোট করা উদ্দেশ্য ছিল না।’ যদিও স্থানীয়দের এক পক্ষের দাবি, সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই একই পোস্ট এবং ছবি শেয়ার করেছিলেন। কেন শুভজিতের বিরুদ্ধেই এত কড়াকড়ি করতে হল? রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ সংক্রান্ত তথ্য এভাবে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা উচিৎ নয়। যুবকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে তাকে জলপাইগুড়ি কোর্টে পাঠানো হয়।’

About The Author