মসুর ডালের পর এবার সাবুদানা, তেরঙ্গা এঁকে ফের রেকর্ড বুকে স্নিগ্ধা

রাজগঞ্জ: মসুর ডালের ওপর ভারতের মানচিত্র একেঁ আগেই চমকে দিয়েছিল স্নিগ্ধা। ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছিল। এবার সাবুদানার ওপর দেশের ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা এঁকে আবারও রেকর্ড বুকে নাম লেখাল রাজগঞ্জের মেয়ে স্নিগ্ধা চৌধুরী। ১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি সাবু দানার ওপর সূচ ও জল রং দিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা এঁকেছে স্নিগ্ধা। এর আগে মসুর ডালে মানচিত্র এঁকে খেতাব মিলেছে। তবে এবারে মসুর ডালের চার ভাগের এক ভাগ অংশে কাজ করা হয়েছে। এই কীর্তির জন্য ইতিমধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসের তরফে স্নিগ্ধা চৌধুরীকে ইমেল মারফত ভার্চুয়াল শংসাপত্র ও সন্মান প্রদান করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ফাটাপুকুর কলোনির বাসিন্দা কবি চৌধুরীর মেয়ে স্নিগ্ধা চৌধুরী জলপাইগুড়ি পিডি ওমেন্স কলেজের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ভূগোল বিভাগের ছাত্রী। মা দিপালী চৌধুরী জানান, স্নিগ্ধা ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে। স্নিগ্ধার বাড়িতে গেলেই ধরা পড়বে সেই ছবি। স্নিগ্ধা জানায়, এবারে সে ১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যর একটি সাবুদানার ওপরে ভারতের জাতীয় পতাকা একেঁছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করেছে। কাজটি সম্পন্ন করতে কোনওরকম প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়নি বলে জানায় স্নিগ্ধা। এরআগেও খুদে মানচিত্র একে রেকর্ড বুকে নাম তুলেছিল স্নিগ্ধা। সেইকাজের খেতাব মেলার পরই দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে জাতীয় পতাকাও একেঁছিল স্নিগ্ধা। পরে সেটি ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে জানাতেই সাবু দানার ওপর বিশ্বের খুদে ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে খেতাব পেয়েছে সেটি।

স্নিগ্ধার বাবা কবি চৌধুরী জানান, মেয়ে আবারও রেকর্ড বুুকে নাম তুলবে সেটা তিনি ভাবতে পারেননি। প্রথমবার রেকর্ড বুকে নাম তোলার পর থেকেই কাজের উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল স্নিগ্ধার। সেইমতোই দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতেই সাফল্য মিলেছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে স্নিগ্ধাকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে বলে জানান কবিবাবু। প্রথমবার রেকর্ড বুকে নাম তুলতেই জলপাইগুড়ি জেলা তথা রাজগঞ্জ ব্লকে সাড়া ফেলেছিল স্নিগ্ধা। কৃতিত্বের খবর শুনে স্নিগ্ধার বাড়ি এসে সংবর্ধনা জানান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এছাড়াও ফাটাপুকুরে এক অনুষ্ঠানে স্নিগ্ধাকে সংবর্ধনা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস।