বাবা-মায়ের সঙ্গে মামাবাড়ি থেকে মালদায় ফিরছিল ক্লাস টু-এর ছাত্রী স্নেহা মণ্ডল। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনের পেছন দিকে উঠেছিল তারা। মালগাড়ির ধাক্কায় শুন্যে ছিটকে যায় তাঁদের কামরা।
ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় মারাত্মক ঘটনা। গুরুতর জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাবা-মা ও মেয়েকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল ছ’বছরের ওই শিশুকন্যা। বাবা-মা বেঁচে গেলেও মৃৃত্যু হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর। শোকের ছায়া পরিবারে।
এই নিয়ে রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এখন, শুধুই উদ্বেগ আর স্বজনহারাদের কান্না।
অন্যদিকে, কাজের সূত্রে শিলিগুড়ি এসেছিলেন শুভজিৎ। ১১ বছরের মেয়ের আবদারে জন্মদিনের জন্য তৎকালের টিকিট কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু রাঙ্গাপানির ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় সব শেষ! জন্মদিনে মেয়ের সঙ্গে বাবার আর দেখা হল না। উল্টে বাড়িতে উঠল কান্নার রোল।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বালিগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিৎ মালির। জানা গেল, গাড়ি ডেলিভারি করাতে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন শুভজিৎ। ফেরার কথা ছিল দু’দিন পর। কিন্তু তাঁর ১১ বছরের মেয়ের জন্মদিনে বাবা হিসেবে থাকতে আবদার করেছিল ছোট্ট মেয়ে। সেই জন্য তৎকালের টিকিট কেটে একদিন আগেই ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পাড়ার এক বন্ধু। দুর্ঘটনার ঠিক আগে পাশের কামরায় গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। তাঁর থেকেই শুভজিতের মৃত্যুর খবর জানতে পারে তাঁর পরিবার।