জলপাইগুড়ি: দুর্গাপুজোর তোড়জোড় শুরু করতে গিয়ে ক্লাবঘরের দরজা খুলতেই যা দেখা গেল, তা যেন কোনও থ্রিলার সিনেমার দৃশ্য। জলপাইগুড়ির বাবুপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির ক্লাবঘরে বৃহস্পতিবার সকালে সদস্যেরা ঢুকতেই চোখ আটকে গেল চৌকির নিচে। পচা গন্ধে নাক কুঁচকে উঠলেও কেউ ভাবেননি, সেখানে পড়ে থাকতে পারে একটি নরকঙ্কাল।
প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ ছিল ক্লাবটি। পুজোর প্রস্তুতির জন্য দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাবের ভেতরে থাকা একটি চৌকির নিচে মানুষের কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে আঁতকে ওঠেন সদস্যেরা। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে, ভিড় জমে ক্লাব প্রাঙ্গণে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার বাহিনী। পরে আসেন উপ পৌরপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও।
তিনি জানান, কঙ্কালটি কীভাবে এল, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ফরেনসিক টিমের রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাবে না। খুন, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা—সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। ছেলে না মেয়ে, পাড়ার কেউ কি না—সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ময়নাতদন্তের পর।
ক্লাবের এক সদস্য বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে গন্ধ পাচ্ছিলাম, ভাবছিলাম ইঁদুর বা বিড়ালের লাশ। আজ দরজা খুলতেই চৌকির নিচে কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই।”
পুজোর আনন্দের মাঝে এমন এক রহস্যজনক ঘটনা গোটা বাবুপাড়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে আতঙ্ক আর কৌতূহল। স্থানীয়রা বলছেন, “এটা শুধু একটা কঙ্কাল নয়, একটা অজানা গল্পের শুরু। আমরা চাই, সত্যিটা দ্রুত সামনে আসুক।”

