শিলিগুড়ি: বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিয়ে আর টাকা ফেরায় না, এমন তো অহরহ দেখছন। কিন্তু বাইক ধার নিয়ে চম্পট দেওয়া বন্ধু দেখেছিলেন কি? দেখুন শিলিগুড়িতে কি কাণ্ড!
মাত্র কিছুক্ষণের জন্য বন্ধুর থেকে বাইক চেয়ে নিয়ে গিয়েছিল কাজের সূত্রে পরিচিত এক বন্ধু। সেই যে নিল, আর ফেরানোর নাম নেই। কার্যত ফেরার হয়ে যান যুবক। একবছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পুলিশ ধরল ব্যাটাকে, তার থেকে উদ্ধার হল বাইকটিও।
ঘটনা গত বছরের জুলাই মাসের। সোয়েব আখতার নামের একজন শিলিগুড়ির একটি কনসালটেন্সি সেন্টারে কাজ করে। সেখানেই দাগাপুরের বাসিন্দা কুণাল রায়ের সঙ্গে সোয়েবের আলাপ হয়। ক্রমে পরিচয়, কাজের সূত্রে বন্ধুর মত আলাপ। সেই খাতিরেই কোথাও একটা যাবার জন্য কুণালের বাইকটি অল্প সময়ের জন্য চেয়ে নিয়েছিল সোয়েব।
যেহেতু চেনাজানা ছিল, সেজন্য বিশ্বাস করে কিছুক্ষণের জন্য বাইকটি দিয়েও দেয় কুণাল। কিন্তু তারপর সময় গড়ালেও সেই বাইক আর ফেরতই পায়নি কুণাল। এমনকি সোয়েবেরও তারপর থেকে আর কোনও পাত্তা নেই। দীর্ঘ চেষ্টা প্রচেষ্টার পর শেষে নভেম্বর মাসে এই বাইক উধাওয়ের ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে কুণাল রায়।
অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযুক্ত সোয়েবের খোঁজ করছিল পুলিশ। কিছু মাস তদন্তের পর অবশেষে মিলল সাফল্য। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর গত ১৮ই এপ্রিল ভোররাতে শিশাবাড়ি এলাকা থেকে সোয়েব আখতারকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর পুলিশ।
এরপর আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ধৃত সোয়েবকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তীতে সোয়েবের ইসলামপুরের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া বাইকটি উদ্ধার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ধৃতকে রিমান্ডের সময়সীমা শেষে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।
About The Author
