নয়াদিল্লি: সৌদি আরব থেকে এক বছরে অন্তত ২৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা প্রদানে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানি নাগরিকদের জড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৬৬ হাজারেরও বেশি যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে আটকানো হয়েছে, যাতে ভিক্ষাবৃত্তির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া যায় এবং অবৈধ অভিবাসন রোধ করা যায়। শুধু সৌদি আরব নয়, দুবাই থেকেও প্রায় ৬ হাজার এবং আজারবাইজান থেকে প্রায় ২,৫০০ পাকিস্তানি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালে সৌদি সরকার পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিল যে, উমরাহ ভিসার অপব্যবহার করে ভিক্ষুকরা মক্কা ও মদিনায় ভিড় জমাচ্ছে। এ নিয়ে সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল যে, এই প্রবণতা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে পাকিস্তানি হাজিদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে ভিক্ষাবৃত্তি এখন একটি সংগঠিত শিল্পে পরিণত হয়েছে, যা বিদেশেও বিস্তার লাভ করছে। পাকিস্তানের প্রবাসী বিষয়ক দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে আটক হওয়া ভিক্ষুকদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি। এই ঘটনায় দেশটির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

