রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মাথায় চোট হয়েছিলেন যুবক। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা হয়নি। এই মুহূর্তে মাথার যন্ত্রণায় প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। চিকিৎসকেরা জানান, এখনই অপারেশন না করা হলে বাঁচানো সম্ভব নয়। আর এর জন্য প্রয়োজন কয়েক লক্ষ টাকার। গরীব পরিবারটি কোথা থেকে সেই টাকা জোগাড় করে ছেলের চিকিৎসা করাবে সেই ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না বাড়ির লোকেরা। স্বাস্হ্যসাথী থাকলেও বিপদে তা কাজে আসছে না। সাহায্যের আবেদন স্ত্রী-পরিবারের।
রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর মনিপুরের বাসিন্দা দুতবর রায়ের ছেলে সঞ্জিত রায় প্রায় ২০ দিন আগে এক রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। বাড়িতে স্ত্রী, দুই সন্তান, বাবা মা সহ ৭ জনের সংসার তাকে একাই সামলাতে হয়। দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট লাগে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে দেখানোর পর চিকিৎসকেরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে অর্থের অভাবে তা হচ্ছে না। মাথার একপাশে চোট গভীর হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করা হলে হয়ত সঞ্জিতকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। সঞ্জিতের পরিবারে উপার্জনকারী বলতে সে একাই। এমন অবস্থায় কিভাবে এতগুলো টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা হবে সেই ভেবেই রাতের ঘুম উবে গিয়েছে বাড়ির লোকেদের।
সঞ্জিতের স্ত্রী বলেন, স্বাস্হ্যসাথী থাকলেও বিপদে তা কাজে আসেনি। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কেউ যদি সহযোগীতা করেন তবেই স্বামীকে বাঁচানো সম্ভব। বাবা দুতবর রায় কান্না জড়ানো গলায় বলেন, ভিক্ষে করে সংসার চালাতাম। যা করার ছেলেই করত। এখন কিভাবে ছেলের চিকিৎসা করাব। কেউ যদি ছেলেকে বাঁচান তবেই সে বাঁচতে পারবে।