রাগজঞ্জের কালিনগরে করতোয়া নদী থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। জানা গেল, ওই ব্যক্তি সুখানি চঞ্চলের বৈরাগিপাড়ার একটি বাগানে চা শ্রমিকের কাজ করছিলেন। নাম সঞ্জিত ওঁরাও। তাঁর স্ত্রী বলছেন, নিশাবপাড়ায় হাড়িয়া বিক্রি করতে এসেই এই ঘটনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজগঞ্জ বাজারের পেছনের ঘাট থেকে সঞ্জিতের দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতের মাথায় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবার জানাল, গতকাল সকালেই কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না। রাতে পুলিশের তরফে জানা গেল ঘটনা। দেহ শনাক্ত করে পরিবার।
মৃত সঞ্জিতের পরিবারে তাঁর স্ত্রী, দুই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে এবং ভাইয়েরা রয়েছে। মৃতের ভাই ও স্ত্রী ঘটনার কোনও কারণ অনুমান করতে পারছেন না। তবে স্ত্রীর দাবি, সঞ্জিত দীর্ঘদিন ধরেই হাড়িয়া বিক্রি করত। এদিনও হাড়িয়া নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। তারপর কি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।
বাগান কর্তৃপক্ষ জানাল, বিগত ৫ মাস থেকে মাঝে মধ্যেই দু-তিনদিনের জন্য কাজ করতে আসছিল না। অত্যধিক মদ্যপান করত বলে পরিবার সুত্রে জানা যায়।
এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে রহস্য। শোকের ছায়া নেমেছে চা বাগানের শ্রমিক মহলে। শুক্রবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হয়। তদন্ত করে দেখছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।