ডেস্ক রিপোর্ট: বয়স তখন সবে মাত্র ৭ বছর, অতটুকু বয়সেই জনসমক্ষে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ছেলেটি। নিজের স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে তখনও এসে পৌঁছায়নি প্রধান অতিথি। স্কুলে সুরেলা স্বরের জন্য সবার মুখে মুখে ঘুরত তাঁর নাম। সকলের রেফারেন্স মেনেই স্কুলের প্রিন্সিপাল তাঁকে মঞ্চে ডাকলেন গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করার জন্য। মঞ্চে গিয়ে হুবুহু লতা মঙ্গেশকারের গলায় ‘ডাফলি বালে ডাফলি বাজা’ গানটি ধরলেন। কোথাও কোনও ফাঁকফোকর বোঝবার সুযোগ নেই। নিখুত ও মসৃণ গলায় গান গেয়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করল ছেলেটি। এই সময়ই স্কুলে ঢুকছিলেন প্রধান অতিথি। গানের গলা শুনেই গায়কের সন্ধানে তিনিও সোজা স্টেজে ছুট দিলেন। কাছে এসে বললেন, কি নাম তোমার? সাইরাম আইয়্যার, উত্তর দিল ছেলেটি। এই ছিল সাইরামের জীবনের প্রথম জনসমক্ষে গান গাওয়ার গল্প। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। এক গলায় মহিলা ও পুরুষ কন্ঠের অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটিয়ে বর্তমানে বিখ্যাত গায়ক হিসেবে পরিচিত তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তাঁর সুরেলা গানের দৃশ্য।
https://www.facebook.com/Fatapukur/videos/844138479454886/
মুম্বইয়ের এই গায়ক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বর্তমানে আবার আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নব্বইয়ের দশকে যখন তিনি মুম্বই ইউনিভার্সিটি থেকে সংগীতে ডিপ্লোমা করেন তখন মহিলা কন্ঠে তার পারদর্শিতার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারপর থেকেই দ্বৈত ভয়েসে গান গাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি পন্ডিত রমেশ নদকর্নির ছাত্র। প্রথম থেকেই ক্লাসিক্যাল গানের প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। সাইরামের বাবাও সংগীত ও অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন। লতা মঙ্গেশকার এবং আশা ভোঁসলের গান তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি মঞ্চে গান গেয়েছেন তিনি। ভালো সুরের পাশাপাশি ভালো মনেরও অধিকারী তিনি। বহুবার গান গেয়ে অসহায় মানুষদের সাহায্য করেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ তুলে দিয়েছেন ক্যান্সার পীড়িত অথবা সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারগুলির হাতে। অসহায়দের ত্রাতা হিসেবেও পরিচিত সাইরাম। ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসে এমটিভি ‘উভর্তা সিতারা’ সম্মান দেয় সাইরামকে।