নয়াদিল্লি: বিজেপির অন্দরে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ছিল একটি ‘অঘোষিত নীতি’—৭৫ বছর বয়সে নেতাদের অবসর নিতে হবে। সেই সূত্রেই বহুদিন ধরে জল্পনা চলছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ৭৫ বছরে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু সম্প্রতি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মন্তব্যে সেই ধারণায় বড়সড় ধাক্কা লাগল।
দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাগবত বলেন, “আমি কখনও বলিনি যে আমি অবসর নেব বা অন্য কেউ ৭৫ বছর বয়সে পৌঁছলে অবসর নেবে…” । তাঁর সংযোজন, “সংঘ যা বলবে, আমরা তা করব।” এই বক্তব্যে স্পষ্ট—৭৫ বছরের সময়সীমা কোনও বাধ্যতামূলক নীতি নয়, বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজেপির তরফেও বারবার বলা হয়েছে, এমন কোনও লিখিত নিয়ম নেই। যদিও ২০১৯ সালে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে তিনি বলেন, সেটি ছিল নির্বাচনি কৌশল, দলের সংবিধানে বয়স সংক্রান্ত কোনও বিধান নেই।
বিরোধীরা বহুবার এই ‘নিয়ম’ তুলে ধরে লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশীর মতো প্রবীণ নেতাদের sidelining নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ভাগবতের সাম্প্রতিক বক্তব্যে স্পষ্ট—বয়স নয়, সংগঠনের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনের মাত্র ছয় দিন আগে ভাগবতের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। তিনি নিজেও ৭৫ বছরে পা দিতে চলেছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এই বার্তা কি মোদীর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার ইঙ্গিত?