মহালয়ার দিন রাজ্যজুড়ে পথে নামল RSS, গৈরিক ধ্বজায় ঐক্যের বার্তা

কলকাতা: আরএসএসের শতবর্ষ উপলক্ষে মহালয়ার দিন রাজ্যজুড়ে পথসঞ্চলন, গৈরিক পতাকায় সামাজিক ঐক্যের বার্তা।

মহালয়ার দিন গৈরিক পতাকা সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে পথে নামল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। শতবর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এই ‘একত্রীকরণ’ কর্মসূচিতে অংশ নেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্বয়ংসেবকরা। নিউটাউনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যায় সংঘের নির্ধারিত গণবেশে পথসঞ্চলনে অংশ নিতে।

মহালয়ার সকাল থেকেই আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের জমায়েত শুরু হল বাংলাজুড়ে। জলপাইগুড়ির গজলডোবাতেও এদিন পদ যাত্রার মধ্যে দিয়ে গণবেশ একত্রিকরণ কর্মসূচি শুরু হয়।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শিলিগুড়ি বিভাগ কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুব্রতীম রুদ্র জানান, ১৯২৫ সালের ২রা অক্টোবর আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আগামী ২০২৫ সালে শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশজুড়ে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ উত্তরবঙ্গের প্রায় ৩০০টি স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। মহালয়ার পুণ্য তিথিতে রাজগঞ্জ খণ্ডের পক্ষ থেকে গৈরিক ধ্বজা উড়িয়ে দেশকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়।  এই কর্মসূচিতে কয়েকশো স্বয়ংসেবক অংশ নেন এবং দেশপ্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দেন। পশ্চিমবঙ্গে এবার এই জমায়েত মহালয়াতেই সেরে নেওয়া হল। অন্যান্য রাজ্যে অবশ্য এই অনুষ্ঠান হবে বিজয়া দশমীতে।

আরএসএসের দাবি, গোটা রাজ্যে প্রায় এক হাজার স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ছিল প্রায় তিন শতাধিক। এই কর্মসূচির মূল বার্তা—হিন্দু সমাজে ঐক্য ফিরিয়ে আনা, পারস্পরিক বন্ধন মজবুত করা এবং ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা।

তবে এই কর্মসূচিকে ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, মহেশতলায় শান্তিপূর্ণ র‍্যালি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তিনি বলেন, “মমতা পুলিশ জাতীয়তাবাদী সংগঠনের কণ্ঠরোধ করছে”।

About The Author