নতুন বছরে মাকে সারপ্রাইজ দিতে দিল্লি থেকে একাই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ঋষভ পন্থ। সঙ্গে ছিল প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। গাড়ি চালানোর সময়ে ঝিমুনি ধরতেই হাইরোডে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে ঋষভের গাড়ি। ছিটকে পড়েন রাস্তায়। আগুন ধরে যায় তাঁর বিএমডব্লিউ গাড়িতেও। গুরুতর জখম ঋষভকে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা।
কিন্তু স্থানীয়রা ছুটে এসে তামাশা দেখেছেন, নগদ টাকা লুট করেছেন। পড়ে ভিড়ের মধ্যে থেকে দুই যুবক ঋষভকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ততক্ষণে আহত ক্রিকেটার নিজেই পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন বলে দাবি। এই ঘটনায় ঋষভ পন্থ বেঁচে গেলেন, কিন্তু মরে গেল মানবতা। ঘটনার পর স্থানীয়দের অসহযোগিতার একাধিক ছবি ভিডিও সামনে আসার পর অন্তত এমনটাই অভিযোগ নেটপাড়ার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঋষভের গাড়িটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। বহু কষ্টে আগুন নেভানো গেলেও গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কপালে, পিঠে ও পায়ে গুরুতর জখম পন্থকে তড়িঘড়ি রুরকির সক্ষম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি পন্থের। হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে সব ঘটনা জানান রিশভ পন্থ।
তিনি বলেন, বছরের শুরুটা দেরাদুনে তাঁর পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। সারপ্রাইজ দিতে কাউকে না জানিয়েই ফিরছিলেন। সঙ্গে বেশ কিছু টাকাও ছিল। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বছরের শেষের এই দুর্ঘটনায়। তাঁর দুর্ঘটনার খবরে ক্রিকেট জগতে হইচই পড়ে গিয়েছে। যদিও ক্রিকেটার এখন সুস্থ রয়েছেন।