মুম্বই: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়িকা রিচা ঘোষ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে তাঁর ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস এবং সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৬ বলে ২৬ রানের ঝকঝকে পারফরম্যান্স গোটা টুর্নামেন্টে দলের অভিমুখ বদলে দিয়েছে। উইকেটের পেছনে তাঁর দস্তানা ছিল নির্ভরতার প্রতীক।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ প্রস্তুতি, আত্মত্যাগ এবং পরিবারের অবদান। শিলিগুড়ির মানবেন্দ্র ঘোষ, যিনি নিজে বড় ক্রিকেটার হতে পারেননি, মেয়ের মধ্যে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। রিচার ক্রিকেট শিক্ষার শুরু তাঁর হাতেই, পরে কলকাতায় মিঠু মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য কোচদের তত্ত্বাবধানে রিচা হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়।
বিশ্বজয়ের রাতে রিচার বাবা-মা ঘুমোতে পারেননি। আনন্দে ভেসেছেন, চোখে জল এসেছে। মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “এটা ভাষায় বোঝানো যায় না। আমি শুধু আনন্দে ভাসছি।” ছোটবেলায় রিচা পেস বোলিং করতেন, পরে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং ও উইকেটরক্ষায় দক্ষতা দেখান। তাঁর মধ্যে ছোট থেকেই ছিল প্রতিযোগিতার মানসিকতা।
রিচার সাফল্যে শিলিগুড়ি জুড়ে উৎসবের আবহ। মা-বাবা অপেক্ষায় আছেন মেয়ের ঘরে ফেরার। তখন হবে আরও বড় উদযাপন। মা রাঁধবেন প্রিয় ফ্রাইড রাইস, বাবা পূরণ করবেন সব আবদার। বিশ্বজয়ের আনন্দে আপ্লুত গোটা পরিবার।

