নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকেই একটি হুন্ডাই আই২০ গাড়ি লালকেল্লার পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। পরে সেটি চালিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় এবং চলন্ত অবস্থায় বিস্ফোরণ ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিকেল ৩টা ১৯ মিনিট নাগাদ গাড়িটি পার্কিং এলাকায় ঢোকে। বিস্ফোরণ ঘটে সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িটি সেখানে রাখা ছিল। বিস্ফোরণের সময় গাড়ির ভেতরে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই গাড়ির মালিককে গুরুগ্রাম থেকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে একাধিকবার গাড়ির মালিকানা বদল হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, গাড়িটি প্রথমে ওখলার এক বাসিন্দার কাছে বিক্রি হয়, পরে অম্বালার এক ব্যক্তি সেটি কেনেন, এবং শেষ পর্যন্ত পুলওয়ামার তারিক নামে এক বাসিন্দার কাছে যায়।
এই ঘটনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। এনআইএ, এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকবার্তা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং গাড়িটির গতিপথের মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। পার্কিং কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পর দিল্লি ও আশপাশের রাজ্যে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

