প্রথমবার আইপিএলের খেতাব পাওয়া বেঙ্গালুরুর জয়ে উচ্ছসিত বিকেলটা বিষাদে বদলে গেল। বিরাটদের দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে এখনও ১১ জনের মৃত্যু। আহত অন্তত ৩৫ জন। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বুধবার বিকেলে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে যখন এত কাণ্ড, তখন ভেতরে চলছিল, নাচ গান। কর্তৃপক্ষ নাকি জানতেই পারেন নি এত কিছু! এদিন, RCB দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এক ঝলক পাবার আশায় প্রচুর মানুষের ভিড় জড়ো হওয়ার পরই এই বিশৃঙ্খলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উৎসব দেখতে আসা অনেকেই পাগলের মত লাফালাফি, ছোটাছুটি করছিল, সেখানেই পদদলিত হয়ে জ্ঞান হারান অনেকে। পড়ে তাঁদের হাসাপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু নিসচিত করেন চিকিৎসকেরা। এখন সংখ্যাটা ১১, আহত অন্তত ৩৫ জন।
কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেছেন, ভিড়কে সামলা নো যায় নি। এমনটা হবে তা বোঝা যায়নি। “অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি,” মিঃ শিবকুমার বলেছেন। “আমরা ৫,০০০ এরও বেশি কর্মীর ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি তরুণ প্রাণবন্ত জনতা, আমরা তাদের উপর লাঠি ব্যবহার করতে পারি না।”
অন্যদিকে, উদযাপন অনুষ্ঠানের এক ঝলক দেখার জন্য লোকজনকে গাছেও উঠে পড়তে দেখা গেছে। কর্ণাটক সরকার নিরাপত্তার কারণে বিধান সৌধ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিজয় কুচকাওয়াজ বাতিল করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা মঙ্গলবার রাত থেকে উদযাপনকারী জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সারা রাত ধরে পুলিশ তাদের পরিচালনা এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য নিযুক্ত রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী কর্ণাটক সরকারের দুর্বল পরিকল্পনা এবং জনতার অব্যবস্থাপনার জন্য সমালোচনা করেছেন।”

