রাজগঞ্জ: পাশাপাশি বাড়ি! বৃদ্ধের বয়স ৬১। পাট ক্ষেতে কাজের সুযোগে ১৩ বছরের নাবালিকার সঙ্গে অপকর্ম করে বসল বুড়ো। ওইটুকু বাচ্চা, গর্ভবতী হতেই প্রকাশ্যে এল লজ্জাজনক কাণ্ড।
মেয়েটি যাতে কাউকে না জানায়, তারজন্য প্রাণের ভয় দেখাত অভিযুক্ত। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে পানিকাউরি এলাকায় মারাত্মক ঘটনা। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী ৬১ বছর বয়সী ডালিম মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ওই কিশোরী অসুস্থ বোধ করছিল। বমি, শারীরিক অস্বস্তি—সব মিলিয়ে শুক্রবার তাকে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। খবর শুনে হতবাক পরিবার দ্রুত তাকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে।
এরপর নাবালিকার বাবা রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত ডালিম মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমিধ্যেই জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, “আমাদের মেয়ের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য কাজের শাস্তি যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরাও একই দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের পরিবার জানিয়েছে, “যদি তিনি সত্যিই অপরাধ করে থাকেন, তবে আইনের পথে তার শাস্তি হওয়াই উচিত।”
রাজগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ ও পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে বিজেপির দাবি, রাজ্যের এই সরকারের আমলে কিছু মানুষ উৎসাহ পাচ্ছে। তারই জেরে এমন কাণ্ড। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, আইন আইনের পথে চলছে। শুধু কি এই রাজ্যে? বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কি নারকীয় ঘটনা ঘতা থেমে গেছে? কাউকে দায়ী না করে বরং আইনি যা ব্যবস্থা তাই করা হোক।