রাজগঞ্জ: ৪ বছরের শিশুর জটিল চিকিৎসায় ঘটি-বাটি বিক্রি হওয়ার জোগাড়। ঘরে যা ছিল, প্রায় সবই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র ভিটেমাটিই ভরসা। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অথৈ জলে পরিবার। একরত্তি ছেলের চিকিৎসা সূত্রে বাবা-মা মাস দুয়েক ধরে ব্যাঙ্গালোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন। পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে দরকার আরও লক্ষ লক্ষ টাকা। রাজগঞ্জ থেকে শিশুটির মামা, ভাগ্নেকে বাঁচানোর আর্জি নিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন এলাকায়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাজগঞ্জের ভোলাপাড়ার বাসিন্দা উমের আলি জানিয়েছেন, বাচ্চাটির নাম, রোহিত হুসেন (৪)। মাথায় টিউমার আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসার জন্য আরও দশ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিভাবে এতগুলো টাকার যোগাড় হবে তা নিয়ে চিন্তিত অসহায় পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে থেকে জ্বর মাথা ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে এমআরআই করে শিশুর মাথায় টিউমার ধরা পড়ে। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। সেখানেও ঠিক না হওয়ায় ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। সেখানে গিয়ে দু’মাস কেটে গেলেও এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি শিশুটি। তবে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি।
আক্রান্ত বাচ্চাটির মামার অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়ে নামমাত্র আর্থিক ছাড়া পেলেও তাতে চিকিৎসার সেরকম কোনো সহযোগিতা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তরফেও কোনওরকম আর্থিক সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ। যদিও সুখানি অঞ্চল প্রধান শম্পা দত্ত জানান, বিষয়টি সদ্য তাকে জানানো হয়েছে এবং তারপরই অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট হয়েছেন। যদিও মামা উমের আলির অভিযোগ, ভাগ্নের চিকিৎসার জন্য বিধায়কের মাধ্যমে দরখাস্ত লিখে নবান্নে ইমেইল পাঠালেও এখনও তার কোনও উত্তর মেলেনি।