রাজগঞ্জ: দীর্ঘদিনের ভালবাসার সম্পর্ক! তবে মেয়ের পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নিতে নারাজ। অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে দু’জনেই বাড়ি ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে, মেয়ের বাড়ির লোকজন থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ জানান। এমনটাই জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের তরফে। অপহরণের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুজনকেই ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা এলাকার সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ঘটনায় চাঞ্চল্য। গত বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যান নাবালিকা। মেয়ের পরিবারে লোকজন থানায় এসে অপহরণের অভিযোগ জানান। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার বিকেলে ইসলামপুর থেকে নাবালিকা এবং এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত যুবকের নাম, জিত দাস। তার বাড়ি রাজগঞ্জের পাগলারহাট এলাকায়।
যুবকের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জিত রাজগঞ্জ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। প্রায় ৫ বছরের সম্পর্ক রয়েছে মেয়েটির সঙ্গে। সম্পর্কের খবরে এর আগেও মেয়ের পরিবারের তরফে আপত্তি জানানো হয়। যুবকের ওপর আক্রমণও করা হয় বলে অভিযোগ। সম্পর্কে মত না থাকায় নাবালিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করা হয়। এদিকে, এবারই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল নাবালিকার। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা শেষেই মেয়ের বিয়ের কথা ঠিক ছিল। সেই কারণেই নাবালিকা যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিধান্ত নেয়। বুধবার রাত থেকে বাড়ি ছাড়া ছিলেন দু’জনই।
নাবালিকার বাড়িও রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই। তবে এই বিষয়ে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানিয়েছেন, মেয়ের বাড়ির তরফে থানায় অপহরণের অভিযোগ করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার বিকেলে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকার করিয়াখাল থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে। রবিবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে নাবালিকাকে। ধৃতের নাম জিত দাস। তাঁর বাড়ি সন্ন্যাসিকাটা অঞ্চলের পাগলারহাট কুতাবগছ এলাকায়।