রাজগঞ্জ: বাম ছাত্রনেতার ওপর হামলার অভিযোগ! রাতে সংগঠনের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতি আক্রমনে জখম হলেন রাজগঞ্জের এসএফআই কর্মী তথা ছাত্র নেতা দিলদার হোসেন।
শনিবার এলাকায় ইউনিট মিটিং সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সুখানি অঞ্চল অফিস লাগোয়া এলাকায় রাস্তার ওপর দুস্কৃতী আক্রমণে জখম হলেন এসএফআই-এর রাজগঞ্জ লোকাল সম্পাদক দিলদার মহম্মদ। ঘটনার পর তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিলদার জানিয়েছেন, দুস্কৃতীরা মুখঢাকা অবস্থায় তার ওপর আক্রমন করে। কেউ হেলমেট পড়ে ছিল কেউ রুমাল বাধা অবস্থায় ছিল। তাই তাদের চেনার উপায় ছিলনা।
বাম ছাত্রনেতার ওপর আক্রমনের ঘটনার পরই শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বাম সংগঠন। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। বাম সংগঠনের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জী। তাঁর কথায়, রাজগঞ্জের রাজনীতির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃনমুলের সমালোচনা করে জলপাইগুড়ি সদর দুই লোকালের সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রশাসনকে জানিয়েও তদন্ত হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র যুবরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আক্রান্ত ছাত্রনেতা দিলদার সামাজিক মাধ্যমে ভীষণভাবে সক্রিয়। ফেসবুকে পোস্ট কমেন্ট করে শাসকদলের সমালোচনার জন্য প্রখ্যাত। এই ঘটনার পেছনে এটাও কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ফেসবুকে তৃণমূলের সমালোচনার জের? অভিযোগ অস্বীকার করে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির দাবি, রাজগঞ্জের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন!
এই বিষয়ে রাজগঞ্জ সুখানি অঞ্চলের সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জী বলেন, রাজগঞ্জের ইতিহাসে এমন ঘটনা নেই। ফেসবুকে যে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে পোস্ট বা সেই সংক্রান্ত মন্তব্য করতেই পারেন। তবে তার জন্য এখনও এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। না জেনেই সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে আবেদন থাকবে যেন দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।