রাজগঞ্জ: বৃষ্টিস্নাত সকালে মন্দিরের দরজায় চোখ পড়তেই চমকে উঠলেন রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর স্কুলপাড়া কলোনির বাসিন্দারা। একই সঙ্গে পাড়ার চারটি মন্দিরে সোনার গয়না চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের দাবি, সব মিলিয়ে অন্তত ১০ লক্ষাধিক টাকার সোনার অলংকার খোয়া গেছে।
চুরি হয়েছে কবি চৌধুরী, রাজা চৌধুরী, মনোরঞ্জন রায় এবং অরুন পালের বাড়ির মন্দির থেকে। রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে ঢুকে দেবীমূর্তির গা থেকে টিকলি, হার, কণ্ঠমালা সহ একাধিক গয়না নিয়ে যায় চোরেরা। সকালে রাজা চৌধুরী প্রথম তাঁর মন্দিরে গিয়ে তালা ভাঙা অবস্থায় দেখেন, এরপর একে একে বাকিরাও বুঝতে পারেন তাঁদের মন্দিরেও একই ঘটনা ঘটেছে।
কবি চৌধুরী বলেন, তাঁদের বাড়ির মনসা মুর্তি থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি হয়েছে। পাশের বাড়ির কালী মন্দিরে এদিন দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখা যায়। ভেতরে চোখ পড়তেই চুরির ঘটনা নজরে পড়ে। তারপর একে একে পাড়ার চার বাড়িতে মন্দিরে চুরির ঘটনা সামনে আসে।
অরুণ পালের বাড়ির শীতলা মন্দিরেও চুরি হয়েছে। প্রতিদিনের মতো পুজো দিতে গিয়ে গৃহকর্ত্রী দেখেন, মায়ের গা থেকে গয়না গায়েব। তিনি বলেন, “৪০ বছর ধরে পুজো করছি, কখনও তালা দিইনি। ভাবতেই পারিনি এমন কিছু ঘটবে।”
এদিকে পাশের একটি মনসা মন্দিরেও মূর্তির গায়ে চোটপাটের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি কিছু বাইরের ছেলেপেলের আনাগোনা বেড়েছে, হয়তো তারাই পরিকল্পনা করে এই চুরি করেছে। যদিও এই ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। একই রাতে চারটি মন্দিরে চুরি হওয়ায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।