লজ্জা নেই! গুটকা বিক্রিতে ধমক, ক্লাসে প্রেম-বিয়ে নিয়ে পড়ুয়াদের সতর্কবার্তা—রাজগঞ্জের BDO-র সক্রিয় পদক্ষেপ

জলপাইগুড়ি: নিজের হাতেই টেনে নামালেন বিড়ি-খইনির প্যাকেট, তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। ব্যবসায়ীদের দিলেন জোর ধমক। বললেন, আপনাদের কি লজ্জা শরম নেই? আপনার ছেলেমেয়েরাই তো পড়ছে এখানে আর আপনি স্কুলের সামনে এসব বিক্রি করেন? এবার নেশাজাত সামগ্রীর বিরুদ্ধে অভিযান রাজগঞ্জের বিডিও-র, ঢুকে পড়লেন খাবারের দোকানেও।

বুধাব্র বেলাকোবা হাই স্কুলের সামনে আচমকাই হাজির সেই বিডিও। দোকানে গুটকার প্যাকেট ঝুলে আছে দেখে নিজ হাতে গুটকা প্যাকেট সরিয়ে দেন এবং দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দেন—স্কুল চলাকালীন নেশাজাত দ্রব্যের বিক্রি বরদাস্ত করা হবে না। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও বার্তা দেন তিনি।

পাশাপাশি, স্কুলে ঢুকেও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও মুখোমুখি আলোচনা করেন বিডিও। অল্প বয়সে প্রেম ও পালিয়ে বিয়ের প্রবণতা এবং কাজের বাজার নিয়ে কথা বলেন বিডিও। ক্লাসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন— “১৮, ২২ বিয়ের সময় নয়। ২৬-৩০ বছর বয়সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “প্রেম মানে তো তিন মাস আনন্দ তারপর যন্ত্রণা!”—মজার ছলে ছাত্রছাত্রীদের বোঝান, পড়াশোনার দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

এদিন চাকরি পাওয়া নিয়ে সমাজে বিদ্যমান ভ্রান্ত ধারণাকেও চ্যালেঞ্জ করেন বিডিও। তাঁর বক্তব্য, “চাকরি নেই—এই কথা ঠিক নয়। চাকরি আছে, তবে প্রতিযোগিতা বেশি। যদি মন দিয়ে পড়া যায়, তবে চাকরি পাওয়া অসম্ভব নয়।”

About The Author