জলপাইগুড়ি: দেড় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দু’জনে। সব ঠিকঠাকই চলছিল। আচমকাই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এলাকায়। প্রথমে ঘর থেকে যুবতীর দেহ মিলল; তারপর পাড়ার একটি গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখলেন স্থানীয়রা। জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় শোকের পাশাপাশি ব্যাপক চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের ভুটকিরহাট এলাকায়।
দম্পতি ছিলেন, বছর ২৫-র রমেশ এবং ২২-এর কাকলি। দেড় বছরে আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। রমেশ এলাকার কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। বাড়িতে নবদম্পতির সঙ্গে তাঁদের দাদা বৌদিও থাকতেন। রমেশের দাদা বলেন, বুধবার পাড়ায় এক বাড়িতে বিয়ে ছিল। রাতে সেখানে যেতে হবে তাই, রমেশ গিয়েছিল গিফট কিনতে। ফিরে এসে দেখা যায় ভেতর থেকে ঘর বন্ধ করে দিয়েছে স্ত্রী কাকলি। দুই ভাই মিলে দরজা ভেঙে দেখেন কাকলির নিথর দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই রমেশ বেপাত্তা হয়ে যান। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে পোস্ট মরটেমের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।