নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম আলাপ করতে মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিল রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের এক যুবক। স্কুল শেষেও চলত আলাপ। মাস ছয়েক এমন চলার পর হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর রাজগঞ্জের ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে গ্রেপ্তারের দাবি তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ দেখালেন নাবালিকার পরিবার।
সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ির মন্ডলঘাটের ওই পরিবার কোতোয়ালি থানায় এসে বিক্ষোভ দেখালেন। অভিযোগকারী নাবালিকার বাবা বলেন, ১৪ বছর বয়সী তাদের মেয়ের সঙ্গে ফোনে প্রেম আলাপ করতেন রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের এক যুবক। মাঝেমধ্যে স্কুলের আশেপাশে এসেও দেখা করতেন নাবালিকার সঙ্গে। যোগাযোগ রাখতে মেয়েকে উপহার হিসেবে মোবাইল ফোন দিয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে মানা করা হয় বলে দাবি। ৫-৬ মাস এমন চলার পর ওই যুবকের সঙ্গে অন্য আরও একটি মেয়ের সম্পর্ক সামনে আসে বলে দাবি। এরপরই নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারে তরফে ওই যুবককে তাদের মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনায় দায়ী করে থানায় অভিযোগ জমা করা হয়েছে এবং অবিলম্বে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সোমবার থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।