দিল্লিতে বিক্ষোভের দিনই একটি সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মোদীর হালকা মজার ছলে জিজ্ঞাসা, “সব কল্যাণ হ্যায় তো?”—যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
দিল্লির এক সরকারি অনুষ্ঠানে আজ এক বিরল দৃশ্য ধরা পড়ল ক্যামেরায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একেবারে পাশে বসে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী হালকা হাসি মুখে তাঁর দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করেন, “সব কল্যাণ হ্যায় তো?”—এই মন্তব্যে উপস্থিতদের মধ্যে হাসির রোল উঠলেও, রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তাঁর এমন ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি অনেককেই চমকে দিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এটি একটি প্রোটোকল-ভিত্তিক সরকারি অনুষ্ঠান, যেখানে সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে মোদীর মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক বার্তা খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই।
সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই মুহূর্তের ভিডিও। কেউ লিখছেন, “রাজনীতিতে শত্রুতা নয়, সৌজন্যই বড়”—আবার কেউ বলছেন, “এটাই তৃণমূলের আসল রং!”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এখনও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তৃণমূলের একাংশ বলছে, “এটা নিছকই সৌজন্য বিনিময়, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অনুচিত।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতারা এই দৃশ্যকে “নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত” বলে ব্যাখ্যা করছেন।
এই মুহূর্তে দিল্লির রাজনীতিতে যেখানে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ এবং কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত চরমে, সেখানে এই দৃশ্য নিঃসন্দেহে এক “পলিটিক্যাল পজ” তৈরি করেছে।