১১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা! অপহরণের ‘সাজানো ঘটনা’য় ৯,২৯,৩৫০ টাকা উদ্ধার পুলিশের

শিলিগুড়ি ও রাজগঞ্জ: অপহরণের নাটক সাজিয়ে সংস্থার নামে সংগৃহীত ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের চক্রান্ত আগেই ফাঁস করেছিল পুলিশ। এবার জেরায় উদ্ধার হল নগদ ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া বাইকও। তবে বাকি টাকা ‘সবাই মিলে খেয়ে ফেলেছেন’, জানালেন মূল অভিযুক্ত পরিতোষ রায়।

রাজগঞ্জের পাগলারহাটের বাসিন্দা পরিতোষ রায় অর্থ লগ্নি সংস্থায় কাজ করতেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১১ লক্ষ টাকা কালেকশন করে ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি রওনা হয়। ব্যাংকে জমা দেওয়ার পথে তাকে অপহরণ করেন কয়েকজন দুষ্কৃতি। পুলিশকে এমনই অভিযোগ করেছিলেন পরিতোষ রায়ের শ্যালক তরুন রায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজগঞ্জ থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিস। পরে তদন্তে জানা যায়, পুরো ঘটনা আসলে একটি পরিকল্পিত নাটক। ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের জন্যই এই নাটক সাজিয়েছিলেন তারা।

তদন্তের স্বার্থে অপহৃত ব্যাক্তিকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার কথায় মেলে নানান অসঙ্গতি। সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সব কথা স্বীকার করে নেয় পরিতোষ রায়। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃত পরিতোষ রায় ঘটনার মুল পান্ডা। তার পরিকল্পনায় ঘটানো হয়েছিল এই কর্মকান্ড। পরিতোষ রায়ের বাড়ি পাগলাহাট থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৫০ টাকা। জেরায় পরিতোষ জানায় বাকি টাকা তারা খরচ করে ফেলেছে। ধৃতকে বুধাবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল, গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে ফুলবাড়ি কামরাঙ্গাগুড়ি এলাকায় বলপুর্বক অপহরন করে বেশ কিছু দুস্কৃতি। ঘটনার পরপরই সেই ব্যক্তির শ্যালক তরুন রায় নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্য রাজগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন দুস্কৃতি আশিস বিশ্বাস, শ্যামল রায় ও সঞ্জয় মোদককে। পাশাপাশি অপহৃত ব্যক্তি পরিতোষ রায়কেও উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিস। সেই ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চ্যকর তথ্য।

About The Author