ওয়াশিংটনঃ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানের উপর সবচেয়ে কম শুল্ক আরোপ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে জারি হওয়া নতুন নির্দেশনামায় পাকিস্তানের উপর প্রযুক্ত পারস্পরিক শুল্কের হার কমিয়ে ১৯ শতাংশ করা হয়েছে, যেখানে ভারতের উপর চাপানো হয়েছে ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ করে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ভারসাম্যে বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই এই ঘোষণাকে ‘নয়া যুগের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে “আন্তরিক ধন্যবাদ” জানান এবং বলেন, “এই চুক্তি শক্তি, খনিজ, তথ্যপ্রযুক্তি ও ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলে দিল।”
ট্রাম্প নিজেও বুধবার ঘোষণা করেছিলেন, পাকিস্তানে যে বিশালাকার তৈলভান্ডার রয়েছে, তার উন্নয়নে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ যৌথভাবে কাজ করবে। এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তান ভারতকেও তেল রপ্তানি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এই শুল্ক ছাড়ের পেছনে রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ইঙ্গিত দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম CNN-এর মতে, পাকিস্তানের রপ্তানিযোগ্য রেডিমেড পোশাক, যা এতদিন ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল, এবার মার্কিন বাজারে তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
অন্যদিকে, নয়াদিল্লি এই সিদ্ধান্তে ‘বিরক্ত’ হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে শুল্ক পুনর্বিবেচনা নিয়ে দর কষাকষি চালু রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই এই শুল্কনীতি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমীকরণে নতুন চাপ তৈরি করতে পারে।