পাকিস্তান ক্রিকেটে ফের বিতর্ক। পাকিস্তান শাহিন্সের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তরুণ ক্রিকেটার হায়দার আলি। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ আগস্ট, বেকেনহ্যাম মাঠে, যেখানে পাকিস্তান শাহিন্স খেলছিল MCSAC-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী তরুণী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে জানা গিয়েছে।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ হায়দারকে মাঠ থেকেই গ্রেফতার করে, পরে তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করে জামিনে মুক্তি দেয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন হায়দারকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং বোর্ড নিজস্ব তদন্তও চালাবে।
PCB-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা এই অভিযোগ সম্পর্কে জেনেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হায়দারকে সাসপেন্ড রাখা হবে এবং আমরা নিজস্ব তদন্তও চালাব।” সূত্রের খবর, গ্রেফতারের সময় হায়দার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এবং তদন্তে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
২৪ বছর বয়সী হায়দার পাকিস্তানের হয়ে ২টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিলেন। এর আগেও ২০২১ সালে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে পাকিস্তান সুপার লিগ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের নতুন হোয়াইট বল কোচ মাইক হেসনের পরিকল্পনায় হায়দার ছিলেন, এবং চলতি মাসে শারজায় T20 ট্রাই-সিরিজে তাঁকে দলে নেওয়ার কথা ছিল। তবে এই ঘটনায় তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখযোগ্য, পাকিস্তান ক্রিকেটে বিতর্কের ইতিহাস রয়েছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সলমন বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফকে গ্রেফতার করে জেল ও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।