খাইবারে পাকিস্তানের বিমান হামলা, ৩০ জনের মৃত্যু! মানবাধিকার সংগঠনের তীব্র নিন্দা

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান বিমান বাহিনী। সোমবার ভোররাতে JF-17 যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা হয় আটটি চীনা LS-6 লেজার-গাইডেড বোমা। এই হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বহু নারী ও শিশু।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। পাক সেনার দাবি, ওই গ্রামে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)-এর বোমা তৈরির কারখানা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং মসজিদে অস্ত্র মজুত করছিল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই হামলাকে “যুদ্ধাপরাধ” বলে অভিহিত করেছে। বালোচ কর্মী মির ইয়ার বলছেন, “পাকিস্তানের দখলদার শাসনের বিরুদ্ধে এই গণহত্যা বিশ্বকে চুপ করে থাকতে দেওয়া যায় না।” পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলের খাইবার শাখাও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই অঞ্চলে Jaish-e-Mohammed ও Hizbul Mujahideen-এর মতো সংগঠনও নতুন ঘাঁটি গড়ছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।

রাত দু’টোর সময় তিরাহ উপত্যকার একটি গ্রামে চালানো এই হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুরাও।

পাক সেনাবাহিনীর দাবি, ওই গ্রামে তেহরিক-ই-তালিবান (TTP)-এর বোমা তৈরির কারখানা ছিল, যেখানে সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে মসজিদ ও আবাসিক এলাকা থেকে। এই ঘটনায় গোটা অঞ্চলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, “এই বোমাবর্ষণ ঘৃণার বীজ বুনছে, কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।”

মানবাধিকার সংগঠনগুলিও প্রশ্ন তুলেছে, কেন এতবার সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটছে তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এই দুর্গম অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল, যেখানে পাকিস্তান সরকার বারবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে।

About The Author