ঢাকা: বাংলাদেশে ভারতবিরোধী ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উত্তেজনা আরও বাড়ল। শুক্রবার বিকেলে দেহ ফেরে ঢাকায়। রাতেই জানানো হয়, সেদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদির কবর হবে।
সেই কথা মত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই তাঁকে কবরস্থ করা হয়েছে শনিবার দুপুরে। হাদির দাফনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজার হাজার সমর্থক ভিড় জমান। তাঁদের দাবি ছিল, হাদিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হোক।
তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক মহল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, নজরুলের সমাধির পাশে হাদির কবরস্থ হওয়া প্রতীকীভাবে তাঁকে জাতীয় মর্যাদায় উন্নীত করার চেষ্টা। অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, হাদির উগ্র বক্তব্য ও সাম্প্রতিক সহিংসতার দায় তাঁকে বিতর্কিত করেছে, ফলে এই সিদ্ধান্তে সমাজে বিভাজন আরও বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দাফনের সময় ব্যাপক পুলিশি নজরদারি ছিল। প্রশাসন জানিয়েছে, কোনও অশান্তি হয়নি, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হাদির মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। সংবাদপত্রের দপ্তরে আগুন, ভারতবিরোধী স্লোগান, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, সব মিলিয়ে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। নজরুলের সমাধির পাশে হাদির কবরস্থ হওয়া সেই অস্থিরতাকে আরও উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

