ট্রাম্পের কথায়, মার্কিন মুলুকে কেবল দু’ধরনের লিঙ্গ থাকবে—পুরুষ ও নারী। এর মাধ্যমে তিনি জাতি ও লিঙ্গ পরিচয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিপক্ষে মেধাভিত্তিক ধারনা তৈরি করতে চাইছেন।
ওয়াশিংটন: আমেরিকায় কেবলমাত্র দুই লিঙ্গ থাকবে—পুরুষ এবং নারী। অন্য কোনও লিঙ্গের পরিচয় পত্র গৃহীত হবে না। বড় ঘোষণা করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। লিঙ্গ বা জাতি পরিচয় কোনওভাবেই কর্মক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে না।
মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম যৌথ অধিবেশনে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে ছিল লিঙ্গ পরিচয়ের প্রশ্ন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা একটি স্পষ্ট নীতি তৈরি করেছি। আমাদের দেশে কেবল দু’ধরনের লিঙ্গ থাকবে—পুরুষ ও নারী। স্কুলগুলোতে জাতিগত পরিচয়ের বিষয়টি আর রাখা হবে না।
ট্রাম্প তাঁর ভাষণে আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আপনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন—ডাক্তার, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার—আপনার নিয়োগ এবং পদোন্নতি হবে কেবল মেধার ভিত্তিতে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনাকে স্থান দখল করতে হবে। লিঙ্গ বা জাতি পরিচয় কোনওভাবেই এই ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে না।”
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি আমেরিকার স্কুলগুলো থেকে জেন্ডার স্টাডিজ বা লিঙ্গভিত্তিক শিক্ষার অবলুপ্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি একটি প্রচলিত ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, যেখানে জাতি ও লিঙ্গ পরিচয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে না।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প LGBTQ+ সম্প্রদায়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি জানান, “আমেরিকায় পুরুষ এবং নারীর বাইরে অন্য কোনও লিঙ্গ পরিচয় গ্রহণযোগ্য হবে না।” ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে আর কোনও ট্রান্সজেন্ডার সদস্য নিয়োগ করা হবে না এবং কর্মরত সেনাদের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের কোনও সুযোগ-সুবিধাও বন্ধ করা হবে।
এর আগে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তবে, ট্রাম্পের বক্তব্য অনুসারে, দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর তিনি সেই নীতির পরিবর্তন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।